মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হাওরের ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও গাফিলতির অভিযোগে চার পিআইসির (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) সভাপতিকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। পরে তাদেরকে ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বেরীবাধেঁর কাজ শতভাগ সম্পন্ন করা হবে। এই শর্তে মুচলেখা দিলে আটক কৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার নলুয়া হাওর থেকে তাদেরকে আটক করা হয় এবং এদিন বিকেলে মুচলেখায় তাদেরকে মুুক্তি দেওয়া হয়। আটককৃতরা হলেন, জগন্নাথপুরের সর্ববৃহৎ নলুয়া হাওরের পোল্ডার-১ আওতাধীন ১ নম্বর প্রকল্পের পিআইসি সভাপতি কামারখাল গ্রামের যুবরাজ মিয়া, ২ নম্বর প্রকেল্পর সভাপতি কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার তেলিকোণা গ্রামের আস্বাদুল হক, ৭ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি (পিআইসি) চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য ইসমাইল চক গ্রামের শান্তনা ইসলাম, নলুয়া হাওরের ৯ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি চিলাউড়া গ্রামের বাসিন্দা সাব্বির আহমদ।
এইদিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনটি টিম বাঁধের কাজের অগ্রগতি সরেজমিন পরিদর্শনকালে বেরীবাধেঁর আশানুরুপ কাজ না হওয়ায় ওইসব প্রকল্পের সভাপতিদের আটক করা হয়। অভিযানে নেতৃত্বদানকারীরা হলেন, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হারুনুর-অর-রশিদ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ শাকিল আহমদ ও শোভন রাইমা। এসময় জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম, উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুর রব সরকার, জগন্নাথপুর থানার এসআই মনিরুজ্জামান, এএসআই মশাহিদসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হারুনুরÑঅর-রশিদ যুগান্তরকে বলেন, বাঁধের কাজেও কোনো ধরনের অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হলে আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বুধবার জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুম, যুগান্তরকে বলেন, বাঁধের কাজে অনিয়ম ও ক্রুটি থাকায় তাদেরকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদেরকে ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বেরীবাধেঁর কাজ শতভাগ সম্পন্ন করা হবে। এই শর্তে মুচলেখা দিলে আটক কৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
Leave a Reply